তীব্র অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের জাঁতাকলে পিষ্ট পাকিস্তান। মৌলিক খাদ্যদ্রব্য ও নিত্যপণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। প্রতিনিয়ত দেশটির মুদ্রা রুপির মান ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে নিত্যনতুন রেকর্ড গড়ছে। গত অর্ধশত বছরের মধ্যে নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটে দেশটি। এর মধ্যেই গত সপ্তাহে পাকিস্তান দেউলিয়া হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন ক্ষমতাসীন দলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ।

অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছে তদবিরে কমতি রাখেনি শাহবাজ সরকার। তবে আইএমএফের কাছ থেকে ৬০০ কোটি ডলারের ঋণের বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ইসলামাবাদ ও আইএমএফের প্রতিনিধি দল।

উল্টো আইএমএফের কঠিন শর্তে ভর্তুকি কমানো, বৈদেশিক মুদ্রাবিনিময় হারের ওপর মূল্যসীমা তুলে নেয়া, কর বাড়ানোর পর আরও এক দফা জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে শাহবাজ সরকার। এতে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইএমএফের ঋণ।

এবার অর্থনীতির হাল ফেরাতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল চীন। ভয়াবহ আর্থিক সংকটে টালমাটাল ইসলামাবাদকে বেইজিংয়ের সহায়তায় কি সমস্যার সমাধান হবে? নাকি দেশটি ঋণের ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে এমন শঙ্কা বিশ্লেষকদের।

বেইজিংয়ের এ পদক্ষেপে কৃতজ্ঞতা জানান পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ। যদিও এ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।